1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
মেরামতের ৬ ঘণ্টা পরেই ভেঙ্গে গেলো হরিশখালী বেড়িবাঁধ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিহতদের কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা শেওড়াপাড়ায় মেট্রো স্টেশনের পাশের ভবনে আগুন শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ ও অভিভাবকের ফোন নাম্বার উল্লেখের নির্দেশ সচিবালয়ে ঢুকে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্রিটিশ মন্ত্রীর শোক সিঙ্গাপুর থেকে রাতেই ঢাকায় আসছেন ডাক্তার ও নার্স  বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ : আইএসপিআর সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৫০ জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা: হতাহতদের স্মরণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১
  • ১৬২ বার পঠিত

সাতক্ষীরায় মেরামতের পর ছয় ঘণ্টাও টেকেনি আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের হরিশখালী বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় সহস্রাধিক গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে শুক্রবার (৪ জুন) দুপুরে হরিশখালী বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করে।

মেরামতের কয়েক ঘণ্টা পর ফের বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় এলাকার হাজার হাজার মানুষ আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। হরিশখালীর বাঁধের দক্ষিণ-পশ্চিমে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ভেঙে পূর্বের ন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার পর তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।

স্থানীয় রহমত আলী জানান, স্থানীয় লোকজন পাউবোর সহযোগিতায় হরিশখালী ভাঙনকবলিত এলাকায় রিং বাঁধ দেওয়া শুরু করেন সপ্তাহখানেক আগে। শুক্রবার বেলা ১টার দিকে রিং বাঁধ দেওয়া শেষ হয়। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার দিকে জোয়ারে আবার বাঁধটি ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে প্রতাপনগর, মান্দারবাড়িয়া ও কল্যাণপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন। হরিশখালী এলাকার বাসিন্দা আবু নাসিম বলেন, রিং বাঁধ দেওয়ার পর আবার যখন সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করছিল, তখন মাইকিং করেও গ্রামের লোকজনকে বাঁধের কাছে আনা যায়নি। যে কারণে বাঁধটির ভাঙন আটকানো সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদ বলেন, চূড়ান্তভাবে বাঁধে বালুর বস্তা দেওয়ার পরে সেখানে ২০০ শ্রমিক রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তা করা হয়নি। যদি সেখানে শ্রমিক রাখা হতো, তাহলে বাঁধ ভাঙার সময় তা রক্ষা করা সম্ভব হতো। এদিকে ঠিকাদারের পক্ষে তদারকির দায়িত্বে থাকা আফ্রিদি হোসেন বলেন, বাঁধটি বাঁধা যখন প্রায় শেষ ঠিক তখনই শ্রমিকরা কাজ অসম্পন্ন রেখে চলে যায়। আর মাত্র ৩০ মিনিট কাজ করলে বাঁধটি ভাঙত না। কিন্তু শত অনুনয় করেও শ্রমিকদের রাখা যায়নি।

প্রতাপনগর এলাকার বেড়িবাঁধ তদারকির দায়িত্বে থাকা পাউবোর শাখা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে হরিশখালীতে ১১০ মিটার বাঁধ ভেঙে যায়। ঐ স্থানের পানি আটকাতে ৩১০ মিটার রিং বাঁধ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্য থেকে ২৫-২৬ মিটার আবার ভেঙে গেছে। যেসব মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছেন, যদি তারা আরো ৩০ মিনিট কাজ করতেন, তাহলে এই সমস্যা হতো না। বাঁধের ভাঙন পয়েন্ট মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

নদী বন্দর / পিকে

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com