যুক্তরাজ্যে ২৫ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দেশটির ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় ২৫বছর বা তার বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি একে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন।
২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী যে কেউ মঙ্গলবার থেকেই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন বলে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিনে আরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৭ম। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৪৭৬। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৪১ জন। ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৭। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৩৪ জন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক জানিয়েছে, ভ্যাকসিন গ্রহণের কারণে অনেক মৃত্যু ঠেকানো গেছে। এছাড়া বহু মানুষকে হাসপাতালেও যেতে হচ্ছে না। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৩৮৬ জনের দেহে করোনার ডেল্টা ধরন (বি১.৬১৭.২) শনাক্ত হয়েছে। করোনার নতুন এই ধরনটি সর্বপ্রথম ভারতে শনাক্ত হওয়ায় এটি ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত।
ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত ১২৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৮৩ জন এখনও ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি। অপরদিকে ২৮ জন ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিয়েছেন এবং তিনজন দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক বলেন, প্রতিদিনই আমাদের ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে নতুন নতুন মাইলফলক যুক্ত হচ্ছে। ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় আরও বড় এবং সফল কার্যক্রম যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ব্রিটেনই সবার আগে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন জীবন রক্ষা করছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাচ্ছে। দু’সপ্তাহ আগে দেশটিতে ৩০ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে। এবার এই কার্যক্রমে ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের অন্তর্ভূক্ত করা হলো।
২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণের জন্য নিজেদের নাম অন্তর্ভূক্ত করার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা। সংস্থাটির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির অর্ধেকের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক লোকজন ভ্যাকসিন নিয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে