ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন রিকশা-ভ্যান শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২২ জুন) বেলা ১১টা থেকে নগরীর টাউন হল সংলগ্ন সদর রোড অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা নকশা আধুনিকায়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যানের লাইসেন্স প্রদানের দাবি জানান। অন্যথায় হরতালসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখার উদ্যোগে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ এবং রিকশা-ভ্যান চালক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রিকশা-ভ্যান শ্রমিকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সকাল ১০টা থেকে টাউন হল সংলগ্ন সদর রোডে জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টার মধ্যে সহস্রাধিক শ্রমিক সদর রোডে জড়ো হন। একপর্যায়ে তারা সড়কের ওপর বসে পড়েন। সেখানেই শুরু হয় সমাবেশ। ফলে সদর রোডের ওই অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই বেকারের সংখ্যা বাড়ছে, শ্রমিকেরা কাজ হারাচ্ছেন। সেখানে নিজের উদ্যোগে শ্রমিকরা ব্যাটারিচালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। সরকারের আকস্মিক (ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধ সিদ্ধান্ত) এমন ঘোষণার ফলে সারাদেশে ৫০ লাখ রিকশা-ভ্যান শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন।
বক্তারা আরও বলেন, ‘ধার-দেনা করে আমরা রিকশা বা ইজিবাইক চালিয়ে পরিবার নিয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছি। এই অবস্থায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চালানো বন্ধ করে দিয়ে আমাদের না খেয়ে মারার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকার প্রত্যাহার না করলে হরতালসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক চালক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাসদের জেলা শাখার আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী।
সমাবেশ শেষে রিকশা-ভ্যান শ্রমিকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
নদী বন্দর / সিএফ