‘লকডাউনের একি হাল, সবই কি জরুরি পরিবহন?’ সোমবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে ইস্কাটন এলাকার বাসিন্দা ফরিদ হোসেন এ কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধে আজ ভোর ৬টা থেকে তিনদিনের সীমিত বিধিনিষেধ (লকডাউন) শুরু হয়েছে। এ সময়ে পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকার মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনা থাকলেও লকডাউনে শাহবাগ এলাকায় অসংখ্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপগাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেখা যায়।
নীলক্ষেত কাঁটাবন মোড় থেকে শাহবাগ চৌরাস্তা পর্যন্ত যানবাহনের আধিক্যের কারণে ক্ষণে ক্ষণে যানজট দেখা দেয়। লকডাউন শুরুর সকালে অন্যান্য আর দশটি দিনের চেয়ে বেশি যানবাহনের উপস্থিতি চোখে পড়ে। পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া বিশেষ বিবেচনায় জরুরি সেবার জন্য এর আওতাভুক্ত যেকোনো যান চলাচলের অনুমতি থাকলেও, রাস্তাঘাটে বের হওয়া সকল যানবাহনই যে বিশেষ জরুরি সেবার জন্য বের হয়নি তা সহজেই বোঝা গেছে। শুধু শাহবাগ নয়, রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও গণপরিবহন (বাস) ছাড়া অন্যান্য অসংখ্য যানবাহন চলতে দেখা যায়।
শাহবাগ এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তারা মোটরসাইকেলে দুজন আরোহী দেখলেই একজনকে নামিয়ে দিচ্ছেন কিংবা, সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারলে মামলা ঠুকে দিচ্ছেন। তবে তাদের সামনে দিয়ে অসংখ্য প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপগাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও সেগুলো আদৌ জরুরি সেবার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে কি-না, তা পরীক্ষা করে দেখতে দেখা যায়নি।
একজন পুলিশ সার্জেন্ট জানান, কিছুক্ষণ ধরে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তারা একটু পরই গাড়ির কাগজপত্রসহ কী প্রয়োজনে বাইরে বের হয়েছেন তা জানতে চাইবেন।
রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বিপুল সংখ্যক রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। নীলক্ষেত মোড়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষমান রিকশাচালক কাদের মিয়া বলেন, ‘ভাবছিলাম অন্য কোনো যানবাহন চলবো না, আয়-রোজগার ভাল অইবো। কিন্তু রাস্তায় তো বাস ছাড়া সব পরিবহনই চলছে। এমনটা হলেতো আয়-রোজগার সুবিধার অইবো না।’
সীমিত পরিসরের এ লকডাউনে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। শপিংমল, মার্কেট ও বিনোদন কেন্দ্র খোলা থাকবে। তবে খোলা থাকলেও হোটেল-রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়া যাবে না।
নদী বন্দর / জিকে