করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’-এর দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। এদিন সকাল থেকেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে দক্ষিণবঙ্গমুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ আরও বাড়ছে।
যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘাটের প্রবেশমুখে চেকপোস্ট থাকলেও তা ফাঁকি দিয়েই তারা ঘাটে এসে পৌঁছেছেন। পণ্যবাহী ফেরিতে তারা নদী পার হবেন।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) ভোর থেকে দক্ষিণবঙ্গমুখী যাত্রীদের ঘাটে যেতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘাট ও আশপাশের এলাকায় যাত্রীদের ভিড় বাড়তে দেখা গেছে। ফেরিতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি-সামাজিক দূরত্ব মানার কোনো বালাই নেই। অনেক যাত্রীই মাস্কও পরছেন না।
এদিকে, শিমুলিয়াঘাট ঘাট ও ঘাটের প্রবেশ সড়কগুলোতে আজও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। লকডাউনে রিকশা ও জরুরি গাড়ি ছাড়া অন্যান্য গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘাটে সিএনজি ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে যাত্রীদের যেতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটে সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘শিমুলিয়া-বাংলবাজার নৌরুটে বর্তমানে মোট ১৪টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক গাড়ি। সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঘাটে মানুষ আসছে। যাত্রী পারাপারের বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। যারা ঘাটে আসছে, তারাই পার হতে পারছেন।’
মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, ‘সকাল থেকেই প্রচুর যাত্রী ঘাটে আসছেন। আমরা চেষ্টা করছি- তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পারাপার হয়।’
নদী বন্দর / জিকে