1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
নবগঙ্গায় সেতু নির্মাণে ধীরগতি, দুর্ভোগে তিন লক্ষাধিক মানুষ - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিহতদের কবরের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা শেওড়াপাড়ায় মেট্রো স্টেশনের পাশের ভবনে আগুন শিক্ষার্থীর আইডি কার্ডে রক্তের গ্রুপ ও অভিভাবকের ফোন নাম্বার উল্লেখের নির্দেশ সচিবালয়ে ঢুকে পুলিশ সদস্যকে পেটালেন শিক্ষার্থীরা, ভিডিও ভাইরাল বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্রিটিশ মন্ত্রীর শোক সিঙ্গাপুর থেকে রাতেই ঢাকায় আসছেন ডাক্তার ও নার্স  বিমান বিধ্বস্তে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ : আইএসপিআর সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৫০ জানাজা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট তৌকির উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনা: হতাহতদের স্মরণে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে এক মিনিট নীরবতা পালন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
  • ১৭০ বার পঠিত

কালিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই। কালিয়া উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদী জেলা সদর থেকে এ উপজেলাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ফলে জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের।

এই দুর্ভোগ কমাতে নবগঙ্গায় সেতু নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগ কাটেনি স্থানীয়দের। দ্বিতীয় দফায় সেতু নির্মাণকাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই মেয়াদ শেষে নির্মাণকাজের অগ্রগতি মাত্র ৬০ শতাংশ। এখন তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল অ্যান্ড মো. মঈনুদ্দীন বাঁশি জেভি ফার্ম এ সেতুর কার্যাদেশ পান। ৬৫১.৮৩ মিটার লম্বা এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থ এ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তখন কাজের অগ্রগতি ছিল মাত্র ২৩ শতাংশ। পরে আরো সময় বাড়ানো হয়। করোনার কারণে প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি পেয়ে ২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। তাই ফের ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে নড়াইল সড়ক বিভাগ।

জানা গেছে, কালিয়া উপজেলার বারইপাড়া ঘাটে একটি সেতু না থাকায় উপজেলাটি দুই ভাগে ভাগ হয়ে রয়েছে। নদীর একপাশে রয়েছে আটটি ইউনিয়ন এবং অপর প্রান্তে ছয়টি ইউনিয়ন। জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের কোনো ব্যবস্থা নেই।

কালিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মুশফিকুর রহমান লিটন জানান, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে কাজ চলছে ধীরগতিতে। বারবার সময় পেলেও কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হচ্ছে ঠিকাদার।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা জানান, ‘শুরুর দিকে সেতুর নকশা জটিলতার কারণে সেতুটির নির্মাণকাজ দুই-তিন মাস বিলম্ব হয়েছে।’

নড়াইল সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ এম আতিকুল্লাহ বলেন, ‘আশা করছি আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।’

সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলেও সত্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হয়নি। আশা করছি দ্রুত এই কাজ শেষ করে নড়াইল ও কালিয়া উপজেলার পথচারীদের পারাপার সহজ করে দেওয়া হবে।

নদী বন্দর / এমকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com