অঝোর ধারায় বিলীন করে আষাঢ় এবার তার আসল রূপ চেনাচ্ছে যেন। তুমুল বৃষ্টি নিয়েই এবার প্রকৃতিতে পা রাখে দ্বিতীয় ঋতুটি। সেই থেকে বর্ষণ মুখরতায় ২০ দিনের পথ চলা আষাঢ়ের। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আপাতত দুই একদিন গত কয়েকদিনের মতো অতিভারি বৃষ্টি থাকবে না। কিন্তু দুই একদিন পর আবারও বাড়বে বৃষ্টির প্রবণতা।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে দেশজুড়ে এখন বিধিনিষেধ চলছে। রোববার (৪ জুলাই) আষাঢ়ের ২০তম দিনে বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙেছে নগরবাসীর। বেলা গড়ালেও মেঘ মেদুর আকাশ বৃষ্টি ঝরিয়েই চলছে।
আবহাওয়া দফতরের হিসেব বলছে, শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সব বিভাগেই বৃষ্টির হানা। বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি সিক্ত করেছে ফরিদপুরকে, কেতাবি হিসেবে সেখানে ৮৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার ঢাকা প্রায় বৃষ্টি শূন্যই ছিল, দিনমান মেঘের শাসনে ভ্যাপসা গরম ছড়িয়েছে সূর্য। তারপরও আবহাওয়া অফিস বলছে, ঢাকায় এক মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে, ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সাতক্ষীরায়, ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
নদী বন্দর / পিকে