ফরিদপুর পৌর এলাকার কুমার নদীর তীরে লাগানো পাঁচ শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বনবিভাগের কর্মীরা স্থানীয়দের লাগানো এসব কলাগাছ কারণ ছাড়াই কেটে ফেলেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। বন বিভাগের ভাষ্য, নতুন করে বনায়ন করার জন্য কলাগাছগুলো কর্তন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর শহরের বর্ধিত এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গাবর্দী, পশ্চিম গঙ্গাবর্দীসহ কুমার নদীর তীরে সরকারি জায়গায় স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ধরনের ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা লাগিয়ে তা পরিচর্যা করে আসছিল। সম্প্রতি কুমার নদী খনন করে মাটি কাটার পর তীরে নতুন মাটিতে কয়েক হাজার কলাগাছ রোপণ করেন স্থানীয়রা। রোপণকৃত সেই চারাগুলো বড় হয়ে প্রতিটি গাছেই এখন কলা ধরেছে। কয়েকদিন পরই কলা গুলো পরিপক্ব হয়ে পেকে যেত এবং বিক্রি করতে পারতেন স্থানীয়রা।
কিন্তু হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে স্থানীয় বনবিভাগের কর্মীরা কলাগাছগুলো কেটে ফেলতে থাকেন। গাছগুলো লাগানো ব্যক্তিরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের কোনো কথাই শোনেননি বনবিভাগের লোকজন। বরং নানা ধরনের ভয়ভীতির কথা বলে। এভাবে কয়েকদিন ধরে প্রায় ৫ শতাধিক ফলধরা কলাগাছ কেটে ফেলা হয়।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, ‘কুমার নদীর পাশেই আমাদের বাড়ি। আমরা বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়েছিলাম। গত বছর আমার মতো বেশ কয়েকজন এই কুমার নদীর তীরে কয়েক হাজার কলাগাছ লাগান। প্রতিটি গাছেই এখন কলা ধরেছে। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন কোন কারণ ছাড়াই গাছগুলো কেটে ফেলেন। ফলে আমাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।’
আনোয়ার হোসেনের মতো স্থানীয় আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কলাধরা অবস্থায় গাছগুলো বনবিভাগ না কাটলেই পারতো। কয়েকটা দিন পরও যদি গাছগুলো কাটতো তাহলে আমাদের এতবড় ক্ষতি হতো না। চোখের সামনে এ অবস্থা কিছুতেই সহ্য করা যায় না।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মীর সাইদুর রহমান বলেন, ‘বৃহৎ স্বার্থে অনেক সময় ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়। বনায়নের জন্য কলাগাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।’ এর চেয়ে বেশিকিছু বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।