ভারতের রাজস্থান এবং উত্তরপ্রদেশে বজ্রপাতে প্রায় ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্থানে ২০ জন এবং উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে। রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর এবং রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জয়পুরের কাছাকাছি অবস্থিত দ্বাদশ শতাব্দীর আমির প্রাসাদের কাছে বজ্রপাতের ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে রোববার উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে নারী ও শিশুসহ প্রায় ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে প্রয়াগরাজ জেলায়। সেখানে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হতাহতদের পরিবার প্রতি ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকেও আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ১৪ জন, কানপুর ও ফাতেহপুরে পাঁচজন করে এবং কৌশম্বি জেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ফিরোজাবাদ, উন্নাও, রাই বারেলিতে দু’জন করে মারা গেছে। এছাড়া হারদোই, ঝানসিতে বজ্রপাতে একজন করে মারা গেছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়পুরের আমির প্রাসাদের কাছে বৃষ্টির সময় একটি ওয়াচ টাওয়ারে উঠে বেশ কয়েকজন সেলফি তুলছিলেন। সে সময় হঠাৎ করেই বজ্রপাত আঘাত হানে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াচ টাওয়ারের ওপর ডজনখানেক মানুষ সেলফি তোলায় ব্যস্ত ছিলেন। তখনই বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। তবে বজ্রপাতের সময় আতঙ্কে ওয়াচ টাওয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে ২৭ জন ছিলেন। এদিকে নিহতদের পরিবার প্রতি ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
এদিকে আমির প্রাসাদ ছাড়াও রোববার রাজস্থানের আরও কয়েকটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বারান এবং জালাওয়ারে একজন করে, কোটায় চারজন এবং ধলপুর জেলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই শিশু।
বজ্রপাতের ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক টুইট বার্তায় মোদি বলেন, রাজস্থানের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
নদী বন্দর / জিকে