টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নদী ভাঙ্গনে অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাকা রাস্তা বিলীন হওয়ায় ৭ গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে মির্জাপুর উপজেলার ২ নং জামুর্কি ইউনিয়নের দক্ষিণাঞ্চলের ৭ গ্রামের কয়েক হাজার পরিবার।
স্থানীয়রা জানায়, জামুর্কি ইউনিয়নের দক্ষিণাঞ্চলের চুকুরিয়া, কাটরা, উফুলকী, সাটিয়াচড়া, পাকুল্যা, গুনটিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের জন্য একমাত্র রাস্তা চুকুরিয়া-পাকুল্যা রাস্তা। স্থানীয় এমপির বিশেষ বরাদ্দে গুনটিয়া ব্রিজ হতে চুকুরিয়া গ্রামের দক্ষিণপাড়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ কি. মি. পাকা রাস্তা সম্প্রতি নির্মাণ করেন উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকেই লৌহজং নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়। চলতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে এবং অতি বৃষ্টির ফলে চুকুরিয়া এলাকায় পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে চলেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা রাস্তাটি ভাঙ্গন রোধ করা না হলে রাস্তার পাশাপাশি চুকুরিয়া গ্রামের কয়েক শতাধিক পরিবারর নদী ভাঙ্গনে গৃহহারা হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলী এজাজ খান চৌধুরী রুবেল বলেন, বিপুল অংকের টাকা ব্যয়ে চুকুরিয়া এলাকায় পাকা রাস্তা নির্মাণ হলেও নদী ভাঙ্গন রোধে গাইড বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় পুরো রাস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা ও চুকুরিয়া গ্রাম রক্ষার জন্য বিষয়টির দিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গন থেকে রাস্তাটি রক্ষার জন্য অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঐ এলাকায় গাইড বাঁধ নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
নদী বন্দর / পিকে