বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাস করে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিটি বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এজন্য বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয় নৌবাহিনীর এই আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নবীন নৌ কর্মকর্তাদের রাষ্ট্রীয় সালাম নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর, এই কোর্সে সেরা পারদর্শিতার জন্য দুজন চৌকশ কর্মকর্তাকে স্বর্ণপদক এবং সব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীর হাতে সোর্ড অব অনার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তুলে দেন নৌ বাহিনী প্রধান।
পরে, সামরিক রীতিতে শপথ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সমুদ্র সীমা অর্জনের বিষয়টিকে অর্থনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ২৭টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজন করেছি। ২০১৭ সালে নৌবাহিনীতে ২টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন আমরা সংযোজন করেছি। ফলে আমাদের বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে সম্পূর্ণ ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে রূপান্তর করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেন সব ধরনের উদ্যোগ থাকে এবং প্রশিক্ষণ থাকে, সেভাবেই আমরা আমাদের প্রতিটি বাহিনীকে গড়ে তুলছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, আমাদের নিজস্ব শিপ-ইয়ার্ডে আমরা যুদ্ধ জাহাজও তৈরি করব। যার কাজ ইতিমধ্যে আমরা কিছু কিছু শুরুও করেছি।’
নদী বন্দর / জিকে