যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডার আঘাতের পর একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এরইমধ্যে নিউ অরলিন্স শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। গাছ ভেঙ্গে পড়ে একজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আইডা প্রাণঘাতী হতে পারে। উপকূলে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি। লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানিয়েছেন, বিদ্যুৎসেবা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কয়েক সপ্তাহ সময়ে লেগে যেতে পারে।
মেক্সিকো উপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানে আইডা। স্থানীয় সময় রোববার ক্যাটাগরি-৪ হারিকেন হিসেবে এটি নিউ অরলিন্সে আঘাত হানে। তবে এখন এটি দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি-৩ হারিকেনে রূপ নিয়েছে।
কোথাও কোথাও ঝড়ের কারণে সমুদ্রের পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠেছে। এর কারণে উপকূলের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে। নিউ অরলিন্স যেন এক ভীতিকর শহরে পরিণত হয়েছে। চারদিকে অন্ধকার, বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে, গাছপালা পড়ে রাস্তা-ঘাট বন্ধ হয়ে আছে।
লুইজিয়ানার গভর্নর জন বেল এডওয়ার্ড জানান, ১৮৫০ সালের পর উপকূলে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ধরা হচ্ছে আইডাকে। তিনি বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। ঝড়ের সময় ঘরের জানালা বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছেন, আবহাওয়া খুবই খারাপ থাকবে।
এর আগে ২০০৫ সালে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ক্যাটরিনার আঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৮শ মানুষের মৃত্যু হয়। গভর্নর জন বেল বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আগামী দিনগুলো খুবই কঠিন হবে।
আইডা আঘাত হানার পর লুইজিয়ানা এবং মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেন, পুরো দেশের মানুষ লুইজিয়ানার বাসিন্দাদের জন্য প্রার্থনা করছেন। ঘূর্ণিঝড়ের পর উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
নদী বন্দর / জিকে