সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে দুই সরকারি নার্সসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোর সকালে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেআটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল এলাকার বাবর আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম সজল (২৮), তিনি গর্ভপাতের শিকার গৃহবধুর স্বামী, শ্বশুর বাবর আলী (৪৮), শাশুড়ি পারভীন সুলতানা (৩৯) এবং শহরের মুনজিতপুর এলাকার তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের সেবিকা শিরিন সুলতানা (৩৯), কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া গ্রামের কাজী আজিমুদ্দীনের স্ত্রী সেবিকা মমতাজ শাহানারা লিলি (৩৭)।
নাজমুল ইসলাম সজলের স্ত্রী জানান, যৌতুকের দাবিতে স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা তার উপর বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ১৪ আগষ্ট সকালে তাকে মারপিট করে। ওই দিন বেলা ৩টার দিকে সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে অবস্থিত সাতক্ষীরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন জোরপূর্বক তাকে নিয়ে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটায় ।
পরবর্তীতে ঐ গৃহবধু সুস্থ হয়ে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন ও অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪। তারিখ- ০১.০৯.২১ ইং।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন জানান, সাতক্ষীরা সদর থানায় ঐ গৃহবধু বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুই সেবিকাসহ গৃহবধুর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
নদী বন্দর / জিকে