দুই বছর আগেও ভাবছিলেন হয়তো শেষ হয়ে গেলো ক্রিকেট ক্যারিয়ার। তাসমানিয়া ও হোবার্ট হ্যারিকেনের কোচ অ্যাডাম গ্রিফিথের কাছে গিয়ে বলছিলেন সেই আশঙ্কার কথাই। গ্রিফিথ তাকে কোনো আশ্বাস দেননি। তবে দিয়েছিলেন তাসমানিয়া দলের হয়ে অনুশীলনের সুযোগ। সেই তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট টি-টোয়েন্টি লিগে অভিষেকের অপেক্ষায়।
বলা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি পেসার নাথান এলিসের কথা। রূপকথার মতো বদলে গেছে যার জীবন, যাকে এখন দেখা যাবে আইপিএলের মতো বড় মঞ্চে। নিয়মিত খেলোয়াড়রা না আসায় সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশ সফরের অস্ট্রেলিয়া ফলে। তাও মূল স্কোয়াডে নয়, ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলের সঙ্গে রাখা হয়েছিল এলিসকে।
সেই তিনিই ঘটনাক্রমে পেয়ে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের স্বাদ, সেদিনই গড়েন ইতিহাস। বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হ্যাটট্রিকের ইতিহাস গড়েছেন এলিস। এর পরপরই রিলে মেরেডিথের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তাকে দলে ভিড়িয়েছে আইপিএলের দল পাঞ্জাব কিংস। আসন্ন টুর্নামেন্টে হয়তো নিয়মিতই দেখা যাবে এলিসকে।
তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে নতুন জীবন দেয়া গ্রিফিথের বিশ্বাস স্লোয়ার, কাটার আর ইয়র্কারের মিশেলে আইপিএলে দারুণ এক অস্ত্র হবেন এলিস। বর্তমানে আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গ্রিফিথ। তবে তাসমানিয়া ও হোবার্টের কোচ হিসেবে এলিসকে খুব কাছ থেকেই দেখেছেন।
ইএসপিএনকে ক্রিকইনফোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের শিষ্যের ব্যাপারে গর্বের কথা জানিয়েছেন গ্রিফিথ। তার মতে, এলিস বরাবরই কঠোর পরিশ্রমী। যার ফল এখন মিলতে শুরু করেছে। আরব আমিরাতে হতে যাওয়া আইপিএলের বাকি অংশে সুযোগ পেলে এলিস ভালো করবেন বলে বিশ্বাস গ্রিফিথের।
তিনি বলেছেন, ‘আমি এলিসের জন্য সত্যিই অনেক খুশি। সে অন্য যে কারও চেয়ে বেশি পরিশ্রম করে। আমি মনে করি, সে যদি সুযোগ পায়, তাহলে এখানে (আমিরাত) সে ভালো করতে পারবে। এখানে কন্ডিশন পুরোপুরি আলাদা এবং টুর্নামেন্টজুড়েই বদলাতে থাকবে। কারণ এসব উইকেটে টানা খেলা চলবে।’
এসময় এলিসের বোলিংয়ের স্লোয়ার, কাটারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সে তার খেলার ভিন্ন দিকটাও নিয়ে আসবে এখানে। তার স্লোয়ার, গতির তারতম্য, কাটার। তবে একটা ভালো ইয়র্কার সবসময়ই ভালো। তার উচ্চতা যেমন, তাতে সে যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্য চিন্তার কারণ হতে পারবে। আর এই কন্ডিশনটাও তার খেলায় সাহায্য করবে।’
নদী বন্দর / সিএফ