কোনোদিন ইংল্যান্ডের কোনো ক্লাবে খেলেননি লিওনেল মেসি। তবু ইংলিশ ক্লাবের বিপক্ষে তার গোল ২৭টি। যার সবশেষটি করেছেন মঙ্গলবার রাতে, ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে। নতুন ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর হয়ে প্রথম গোলটি নিজের সাবেক গুরুর বিপক্ষেই করেছেন মেসি।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে দ্রুততার সঙ্গে পাল্টা আক্রমণে উঠে গিয়ে ডি-বক্সের মাথা থেকে বাম পায়ের জাদুকরী শটে ম্যান সিটির গোলরক্ষক এডারসনকে বোকা বানান আর্জেন্টাইন জাদুকর। পিএসজির হয়ে এটিই তার প্রথম গোল। এর আগে ম্যাচের প্রথম গোল করেন ইদ্রিসা গুইয়ে।
ম্যান সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা ম্যাচ হারের পর সোজাসাপটাই বলেছেন, মেসির মতো খেলোয়াড়কে পুরো ৯০ মিনিট আটকে রাখা অসম্ভব, যা করতেও পারেনি তার দল। হারলেও ম্যাচ শেষে সাবেক শিষ্যের প্রশংসায় কার্পণ্য করেননি গার্দিওলা।
তিনি বলেছেন, ‘প্রথমত আমরা খেলেছি পিএসজির বিপক্ষে। তবে আমরা জানি, মেসিকে পুরো ৯০ মিনিট ধরে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। সে বলে খুব বেশি টাচ করেনি। ইনজুরি থেকে ফিরেছে, ছন্দে ফেরা দরকার ছিলো। তবে আমরা জানি, সে যখন দৌড়ায় এবং বলের কাছে যায়, তাকে থামাও অসম্ভব।’
সিটিজেন কোচ আরও যোগ করেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি (মেসির পথ) কমাতে, যতটা সম্ভব। যেসব সুযোগ আমরা তৈরি করতে পারতাম তা চেষ্টা করেছি। আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট।’
ম্যাচটিতে অবশ্য আক্রমণ কিংবা বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিলো সিটিজেনরাই। অন্তত ১৮টি শট করে তারা। যার মধ্যে ৭টি ছিলো লক্ষ্যে। সাতটিই ফিরিয়ে পিএসজির জাল অক্ষত রাখেন ইতালিয়ান তরুণ গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা।
তাই নিজ দলের খেলায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে গার্দিওলা বলেছেন, ‘কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে আমরা এখানে ছিলাম। আমরা এখানে এসেছি এবং নিজেদের খেলা খেলেছি। সবসময়ই একটা ঝুঁকি থাকে যখন আপনি বল হারান এবং তারা একটি পাস দিতে পারে। আমরা ভালো খেলেছি। তবে গোল করা উচিত ছিলো।’
নদী বন্দর / সিএফ