মুম্বাই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান। সেখান থেকে ৩ অক্টোবর তাকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
গোয়াগামী প্রমোদতরীতে নিষিদ্ধ মাদক কী ভাবে পৌঁছল, তার তদন্তে যত অগ্রগতি হচ্ছে, ততই বিস্মিত হচ্ছেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের এক আদালতে তেমনটাই জানিয়েছেন তারা।
প্রমোদতরীতে মাদক উদ্ধার, সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করা, তাদের মধ্যে শাহরুখ খানের ছেলের উপস্থিতি। ক্রিপ্টোকারেন্সি-র মাধ্যমে ডার্ক ওয়েব থেকে মাদক কেনা, শাহরুখ পুত্রের বান্ধবী মুনমুন ধামেচার স্যানিটারি প্যাডে এবং অন্তর্বাসে মাদক সব মিলিয়ে এনসিবি আধিকারিকদের দাবি, ‘প্রতি মুহূর্তে নতুন নতুন চমক আসছে। জেরায় মিলছে নতুন নতুন তথ্য। শার্লক হোমস বা আগাথা ক্রিস্টির মতো গোয়েন্দা উপন্যাসের থেকে কম নয় এই মাদক-কাণ্ড।’
মঙ্গলবার তল্লাশি চালিয়ে আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আব্দুল কাদের শেখ, শ্রেয়স নায়ার (আরিয়ানদের জেরা করে এই ব্যক্তির নাম উঠে এসেছিল। আধিকারিকদের সন্দেহ, শ্রেয়সের কাছ থেকে মাদক কিনতেন আরিয়ানরা), মনীশ রাজগারিয়া, অবীন সাহুকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এনসিবি সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আরিয়ান এবং অন্য অভিযুক্তদের কাছ থেকে যে ফোন উদ্ধার হয়েছে, সেগুলো সব ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তে এই ফোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূত্র বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
নদী বন্দর / পিকে