শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে বেড়েছে যানবাহন চলাচল। তাই ওই সড়কের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট। ফেরিঘাটের অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আটকা পড়েছে শত শত গাড়ি। বেশিরভাগ ট্রাকেই রয়েছে পেঁয়াজ ও অন্যান্য মালামাল। ভোগান্তিতে পড়েছেন ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপাররা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করে। এসব যানবাহন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা, স্থলবন্ধর বেনাপোল ও ভোমরা, নৌবন্দর মোংলা ও পায়রাবন্দরসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ও চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট দিয়ে মেঘনা নদী পারাপার হয় এসব ট্রাক ও বাস।
জানা যায়, যানবাহন পারাপারের জন্য এই ঘাটে ছয়টি ফেরি আছে। ২৪ ঘণ্টায় নরসিংহপুর ফেরিঘাট থেকে প্রতিটি ফেরি ছয় থেকে সাতবার নদী পার হয়ে থাকে। বাংলাবাজার-মাওয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় এই রুটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত পারাপার না হতে পেরে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে কয়েকশ গাড়ি আটকা পড়ে।
ট্রাকে করে বেনাপোল থেকে চট্রগ্রাম পেঁয়াজ নিয়ে যাচ্ছেন সফিক মিয়া নামের এক ট্রাক ড্রাইভার। দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে তিনি বলেন, ‘ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। ভয়াবহ যানজট। অপেক্ষা করছি, ফেরিতে উঠতে পারছি না। ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজ। তীব্র গরমে পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা। জানি না কখন ফেরি পার হতে পারবো।’
বেনাপোল থেকে চাল নিয়ে কুমিল্লার লাকসাম যাচ্ছেন মো. মহসিন ওমো. রফিকুল ইসলাম। তারা জানান, ‘সোমবার (১১ অক্টোবর) নরসিংহপুর ফেরিঘাটে এসেছি। ফেরির সিরিয়াল না পাওয়ায় গাড়ি ঘাটে আটকা পড়েছে। এভাবে ফেরিঘাটে আটকে থাকতে হবে ভাবতে পারিনি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের টিএস মো. আব্দুল হান্নান জানান, মাদারীপুর বাংলাবাজার-মাওয়া এবং শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথে ফেরি বন্ধ থাকায় এবং চট্রগ্রামের মাইজভান্ডারির গাড়ি বেশি হওয়ায় গত সোমবার থেকে ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। যাত্রীবাহী ও কাঁচামাল বহনকারী গাড়ি আগে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই ঘাটের যানজট নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
নদী বন্দর / জিকে