সরকারি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে লালমনিরহাটে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। ফসলী জমির মাটি কেটে নিয়ে বানানো হচ্ছে ইট। ভাটার মালিকরা প্রভাশালী হওয়ায় কৃষকরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
ফসলি জমির উপরের উর্বর অংশ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য। শুধু শ্রমিক নয় মাটি কাটার মেশিন দিয়েও ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, ইটভাটার মালিকরা কৌশলে তাদের ফাঁদে ফেলে জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ইটভাটা মালিকদের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
কৃষি বিভাগ বলছে, ৩ থেকে ৫ ফুট পযর্ন্ত গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে নেয়ায় জমি হারাচ্ছে উর্বরতা। কৃষিবিদ মারুফা ইফতেখার সিদ্দিকা, লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আর পরিবেশ অধিদফতর জানিয়েছে, আইন ভঙ্গকারি ইট ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, লালমনিরহাটে ৪৮টি ইটভাটা রয়েছে। তারমধ্যে ২১টির অনুমোদন রয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে