1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শীতকালে মাছের ক্ষতরোগ দূর করার উপায় - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২০০ বার পঠিত

শীতকালে মাছ চাষিদের একটু বেশি সতর্ক হতে হয়। কারণ এসময়ে মাছের রোগ-বালাই বেশি দেখা দেয়। ফলে খামারিরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। শীতে দূষিত পানি বা পানির চেয়ে মাছ বেশি হলে মাছের বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। এছাড়া পরজীবী ও জীবাণুর আক্রমণে শীতকালে মাছ রোগাক্রান্ত হয়।

রোগাক্রান্ত মাছের কিছু অস্বাভাবিক আচরণ ও শারীরিক অসঙ্গতি দেখা যায়। এসব অসঙ্গতির মধ্যে রয়েছে খাবারের প্রতি অনিহা, কঠিন বস্তুতে গা ঘর্ষণ ও চলার গতি ধীর হওয়া। অন্যদিকে পানির উপর ভেসে থাকা, লাফালাফি করা এছাড়াও দেহের যেকোনা অংশে ঘা হতে পারে। আবার মাছের রূপালি রঙের সাদা ফোঁসকা উঠে পেট ফুলে যায়, ফুলকা ফুলে উঠে এবং গা থেকে আঠাঁলো বিজলা বের হয়।

আমাদের দেশে শীতকালে সাধারণত মাছের ক্ষত রোগটি মহামারি আকার ধারণ করে। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এসময় খমারিরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। একানোমাইসিস নামের একপ্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে মাছের ক্ষত রোগ হয়। এ রোগের জীবাণু সম্পর্কে দ্বিমত থাকলেও প্রতিকূল পারিপার্শ্বিকতা এ রোগের মূল কারণ বলে মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

মাছের শরীরে ছোটছোট লাল রঙের দাগ হওয়া, দাগগুলো বড় ক্ষতে পরিণত হওয়া, লেজ, ফুলকা ও পাখনাতে পচন ধরা, কোনো কোনো সময় ফুলকা ও পাখনা পচে গিয়ে খসে পড়া। ক্ষত রোগে আক্রান্ত মাছগুলো পানির মধ্যে কাত হয়ে দল ছাড়াভাবে ভাসতে থাকে এবং মাছ দুর্বলভাবে সাঁতার কাটে।

শীতকালে পুকুরের পানির পিএইচ ঠিক রাখার জন্য নিয়মিতভাবে চুন দিতে হবে। ঘন ঘন জাল ফেলে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। জাল ফেললেও মাছগুলোকে পটাশিয়াম পারমাঙ্গানেট দ্রবণে ডুবিয়ে তারপর পুনরায় পানিতে ছাড়তে হবে।

পুকুরে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি মাছ রাখা ঠিক হবে না। বর্ষার সময় বাইরের পানি পুকুরে ঢুকতে দেওয়া ঠিক হবে না। পুকুরের তলদেশের গাদ প্রতি দুই-তিন বছর পরপর একবার সরিয়ে নিতে হবে। মরা মাছগুলোতে চুন লাগিয়ে পুকুর থেকে দূরে মাটির নিচে পুঁতে রাখতে হবে।

ঘা হওয়া মাছগুলো তুত বা কপার সালফেট পরিমিত পরিমাণে তৈরি করে তাতে সামান্য সময়ে গোসল করিয়ে আবার পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাপকহারে এ রোগ দেখা দিলে বিঘাপ্রতি ২০০ কিলোগ্রাম লবণ দুই কিস্তিতে ভাগ করে তিন দিনের ব্যবধানে পানিতে প্রয়োগ করতে হবে।

মাছের অতিরিক্ত খাবারের সঙ্গে টিরামাইসিন নামক ঔষধ (১০০ মিলিগ্রাম ঔষধ প্রতি কিলোগ্রাম খাদ্যের সঙ্গে) ভালোভাবে মিশিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে। সিফেক্স প্রতি হেক্টর পানিতে ১ লিটার ঔষধ প্রয়োগ করে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। এছাড়া কাঁচা হলুদ ১০:২ অনুপাতে বিঘাপ্রতি পানিতে একসঙ্গে মিশিয়ে শীতের সময়ে ব্যবহার করলে এ রোগ থেকে খামারের মাছকে ভালো রাখা যায়।

নদী বন্দর / বিএফ

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com