কুড়িগ্রামে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল গড়িয়ে বেলা হলেও কুয়াশায় ঘিরে আছে চারদিক। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামী আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে কনকনে ঠাণ্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষজন। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষদের। বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতেও দেখা গেছে।
পাঁচগাছি এলাকার ঘোড়ার গাড়িচালক আব্দুল জলিল বলেন, অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় ঘোড়াগুলো দৌড়াতে পারছে না। ঠাণ্ডায় আমারও হাত পা অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু আয় না করলে ঘোড়াগুলোকে খাওয়াবো কী এবং পরিবারকে খাওয়াবো কী? মালামাল পরিবহন না করলে না খেয়ে থাকতে হবে।
কুড়িগ্রাম শহরের ভ্যানচালক জব্বার আলী বলেন, ‘কয়েকদিন থেকে প্রচুর ঠাণ্ডা যাচ্ছে। শীতের কাপড় পড়েছি। তবুও ভ্যানগাড়ি চালালে সেই কাপড় ভেদ করে শির শির বাতাস লাগছে। এতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’
চর কুড়িগ্রাম এলাকার প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষই গরীব। ভিক্ষা করতে শহরের দিকে যাচ্ছি। কিন্তু ঠাণ্ডায় হাতে-পায়ে যেন কামড় দিয়ে ধরছে। শির শির বাতাসে শরীর যেন অবশ হয়ে আসছে। কিন্তু ভিক্ষা না করলে খাবো কী।’
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামের আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলা জুড়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী আরও দু-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া জানুয়ারি মাসে তাপমাত্রা কমে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
নদী বন্দর / সিএফ