1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
চট্টগ্রাম শহীদ মিনারে মুশতারী শফীর মরদেহে শ্রদ্ধা - Nadibandar.com
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ৯৮ বার পঠিত

চট্টগ্রামের শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে একাত্তরের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরের এনায়েত বাজারের বাসা থেকে তার মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। সেখানে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি চৌকস টিম। এরপর থেকে তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুরে বরেণ্য এই নারীর মরদেহ নেওয়া হবে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে। সেখানে জানাজার নামাজ শেষে এনায়েত বাজার চৈতন্য গলি পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম মুশতারী শফী। ৮৩ বছর বয়সী এই নারী দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। এছাড়া বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগও ছিল তার। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন রেখে গেছেন।

মুশতারী শফী ১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ফরিদপুর জেলায়। ১৯৭১ সালের এপ্রিলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার স্বামী মোহাম্মদ শফী এবং ছোট ভাই এহসানকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। তার পরিবার একাত্তরে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় তিনি ওই বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেন।

স্বাধীন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধকালীন স্মৃতিসহ বিভিন্ন নিয়ে তিনি একাধিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এছাড়া ষাটের দশক থেকে তিনি নারী আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। নব্বইয়ের দশকে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন জোরদার হলে তিনি নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকা পালন করেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠনে ভূমিকা পালনের পাশাপাশি তিনি এতে নেতৃত্বও দেন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামের প্রয়াণের পর দেশজুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলনের মূল নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি।

বেগম মুশতারী শফী দীর্ঘসময় ধরে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। একযুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার বেগম মুশতারী শফী দেশে প্রগতিশীল চেতনার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য তাকে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ২০১৬ সালে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করা হয়।

নদী বন্দর / জিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com