করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য একশ ৩০ কোটি ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। দেশটির ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত সহায়তা হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হবে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের সঙ্গে ওমিক্রনও ব্যাপক মাত্রায় শনাক্ত হচ্ছে দেশটিতে। ফলে আবার দেশটির সেবাখাতসহ অন্যান্য ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকার ঘোষিত নতুন প্যাকেজের আওতায় সেবা ও অবসরখাতে প্রায় ৯২ কোটি ৭০ লাখ ডলার দেওয়া হবে। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য প্রায় চার কোটি ডলার ও ব্যবসায়িক সহায়তা ব্যবস্থার জন্য ইংরেজ স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে যাবে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। তাছাড়া স্কটল্যান্ডের সরকারকে দেওয়া হবে প্রায় ২০ কোটি ডলার।
যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কয়েক হাজার ব্যবসায়ীকে সহায়তা করা হবে। সরকার যদি ওমিক্রন ঠেকাতে আরও বিধিনিষেধ আরোপ করে তাহলে আনুপাতিকভাবে ও যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দেশটির সেবাখাতে করোনা সম্পর্কিত কোনো বৈধ বিধিনিষেধ নেই। যদিও গত সপ্তাহে ৬০ শতাংশ করোনার জন্য এইখাত দায়ী। যা দেশটির দৈনিক সংক্রমণের হার প্রায় ৯০ হাজারে নিয়ে যায়।
স্কটল্যান্ডের বার ও রেস্তোরাঁগুলো ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুধু টেবিল পরিষেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। পাশাপাশি সর্বজনীন নববর্ষের আগের দিন উদযাপন বাতিল করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, বড়দিনের আগে ইংল্যান্ডে নতুনভাবে করোনা বিধিনিষেধ আরোপের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় রয়েছে। ফলে প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, বড়দিনের পর বিধিনিষেধ আরোপের প্রয়োজন হতে পারে। আমরা গভীরভাবে ওমিক্রনেও ওপর নজর রাখছি। পরিস্থিতির অবনতি হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
নদী বন্দর / পিকে