ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলমাঝির ঘাট-শিমুলিয়া নৌরুটে অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাক, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ ৩৫টি গাড়ি নিয়ে পদ্মার চরে ৮ ঘণ্টা আটকে থাকে ফেরি। পাইনপাড়া চরে ফেরিটি আটকা পড়ায় তীব্র শীতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহন চালকরা।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে শরীয়তপুরের মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে ‘সোফিয়া কামাল’ নামের একটি ফেরি ছেড়ে যায়। ২০ মিনিট পর কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে পদ্মার চর পাইনপাড়া এলাকায় ফেরিটি নোঙ্গর করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শিমুলিয়ার উদ্দেশে চর থেকে ফেরিটি ছেড়ে যায়।
যেখানে মঙ্গলমাঝির ঘাট-শিমলিয়া নৌ-রুটে ফেরি পারাপার হতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ২০-৪০ মিনিট, সেখানে ৮ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে যাত্রীদের।
ফেরিঘাট সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটের সময় পদ্মায় কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় মঙ্গলমাঝির ঘাট-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এরমধ্যে ফেরিটি পাইনপাড়া চরে আট ঘণ্টা আটকে ছিল।
যাত্রী মো. সোহাগ মোল্লা বলেন, মঙ্গলমাঝির ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে যেতে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট সময় লাগে। কিন্তু কুয়াশার কারণে আমরা পদ্মার চরে আটকা পরি। এই শীতে চরে আট ঘণ্টা আটকে ছিল ফেরিটি। শীতে এমন কষ্ট আর পাইনি। ঢাকাতে আমার জরুরি কাজ ছিল। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারিনি। আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহ-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যা হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে বুধবার রাত ১টা ২০ মিনিট থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ৪টি ফেরি চলাচল করছে।
এদিকে ঘন কুয়াশার কারণে শরীয়তপুরের নরসিংহপুর-চাঁদপুরের হরিণা ঘাট নৌরুটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচলে সমস্যা হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। কুয়াশার কারণে তিনটি ফেরি মাঝপথে আটকা পড়ে। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে এই রুটে ছোট-বড় ৭টি ফেরি চলাচল করছে।
নদী বন্দর / এমকে