ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, গতবছর নেপালে বেড়াতে গেছেন ৫০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক। অন্যদিকে নেপালের ৩ হাজার শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছেন, যাদের বেশিরভাগই মেডিকেল শিক্ষার্থী। নেপালের প্রতিটি হাসপাতালে বাংলাদেশের মেডিকেল গ্রাজুয়েট আছেন, তারাই বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশ-নেপাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা: নতুন দৃষ্টিভঙ্গি’-শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও নেপাল ইকোনমিক ফোরাম।
ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেন, নেপালের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক টাকাকে রূপান্তরযোগ্য মুদ্রা হিসেবে বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে বাংলাদেশের পর্যটক ও নেপালের শিক্ষার্থীরা লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল বহুপক্ষীয় ফোরামে একযোগে কাজ করছে। এ ছাড়া, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, কানেক্টিভিটিতে সহযোগিতা বাড়ানোর আর সুযোগ রয়েছে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ- নেপাল বাণিজ্য বাড়াতে অশুল্ক বাধা দূর করতে হবে। একইসঙ্গে ট্রান্সপোর্ট কানেক্টিভিটি আরও সহজ করা প্রয়োজন। নেপাল থেকে ইতোমধ্যেই ভারতীয় গ্রিড হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে। সে কারণে ভারতের সহযোগিতা নিয়ে বিবিএনের আওতায় নেপালের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি) সৈয়দ মুনতাসীর মামুন বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে একযোগে কাজ করছে। এসব ফোরামের মধ্যে রয়েছে- সার্ক, বিমসটেক, বিবিআইএন ইত্যাদি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। এসব সুযোগ অনুসন্ধানে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির গবেষক আফরিন মাহবুব, নেপালইকোনমিক ফোরামের সিনিয়র ফেলো আমান পান্ত।
নদীবন্দর/এএস