আবু ধাবির গ্র্যান্ড প্রিক্সে বিত্তবানদের মেলা বসে। প্রায় প্রতি বছরই ইয়াস দ্বীপে সিনেমার তারকা, বিশ্বের বিখ্যাত খেলোয়ার এবং যুবরাজরা পার্টিতে মেতে ওঠেন। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে এই বিনোদন হাব মাত্র ৩০ মিনিট দূরত্বে অবস্থিত।
গত মাসেই ধনকুবেরদের এক পার্টিতে ডাক পেয়েছিলেন প্রাক্তন ম্যাকডোনাল্ডস কর্মী চ্যাংপেং ঝাও। অনেকেই এতে অবাক হন। তারপরেই সবার নজর পড়ে তার ওপর। এক সময়ের বার্গার প্রস্তুতকারক ও সফটওয়্যার ডেভেলপার এই ব্যক্তি এখন রীতিমতো আলোচনায়। ক্রিপ্টো দুনিয়ার সাফল্যের কারণে হু হু করে বাড়ছে তার সম্পদের পরিমাণ।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৯ হাজার ৬শ কোটি ডলার। ক্রিপ্টোকারেন্সির এই পথিকৃৎ ধনকুবেরদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। এশিয়ার শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানিকেও পেছনে ফেলেছেন তিনি। আম্বানির মোট সম্পদের পরিমান প্রায় ৯ হাজার ৩শ কোটি ডলার।
এমনকি অদূর ভবিষ্যতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বা গুগলের প্রতিষ্ঠাতা লেরি পেজ এবং সের্গেই ব্রিনের মতো ধনকুবেরদেরও যে তিনি টপকে যেতে পারেন সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় ‘সিজেড’ নামে পরিচিত ৪৪ বছরের চ্যাংপেং। সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন তিনি। আবু ধাবিতে রাজপরিবারের সঙ্গেও সখ্যতা বাড়ছে তার।
এরই মধ্যে দুবাইয়ে তৈরি করে ফেলেছেন বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। বুর্জ খলিফার কাছেই অবস্থিত সেই অ্যাপার্টমেন্টে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
সামনের দিনগুলোতে তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। কারণ তার সম্পত্তির যে পরিমাণ দেখানো হচ্ছে সেখানে ব্যক্তিগত ক্রিপ্টো হোল্ডিংসকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে বিটকয়েন ও তার কোম্পানির নিজস্ব ক্রিপ্টোকয়েন। তথাকথিত বিন্যান্স কয়েন গত বছর প্রায় ১৩শ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে চ্যাংপেংয়ের কোম্পানিকে ঘিরেও ব্যাপক বিতর্কও রয়েছে। চীন থেকে তার প্রতিষ্ঠানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদিকে তার প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস অ্যান্ড ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসেস। অর্থ পাচার এবং কর ফাঁকির মতো কিছু ঘটছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
নদী বন্দর / জিকে