1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
পুকুরে বিষ ঢেলে মারা হলো ১৩ মণ মাছ - Nadibandar.com
সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৩৯ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে আড়াই লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ইউনিয়নের পোড়ার ভিটা এলাকার মৎস্যচাষি মো. আনোয়ার হোসেনের পুকুরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী প্রায় ৪৪ শতক জমিতে মাছের খামার করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় তার ৪৪ শতকের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে দুর্বৃত্তরা। রোববার সকালে পুকুরপাড়ে গিয়ে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখে হতবাক হয়ে যান আনোয়ার হোসেন। এতে পুকুরটিতে চাষ করা কার্ফু, গ্লাস কার্প, সরপুঁটি, কাতল, রুই, ব্রিগেড, সিলভার কার্প, শিংসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় আড়াই লাখ টাকা।

আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার বাড়ি ছিল পার্শ্ববর্তী গ্রামে। ১৪-১৫ বছর আগে পোড়ার ভিটায় বাড়ি করি। সে সময় অনেক কষ্ট করে একটি পুকুর খনন করি। সেই পুকুরে মাছ চাষ করেই কোনরকম সংসারটা চালাচ্ছি। কিন্তু এখানে বাড়ি করার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করে আসছে। গেলো রাতে তারা আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে।’

 

কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনোয়ার বলেন, ‘আমার পুকুরে থাকা ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কী হবে। তারা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিলো। আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ নাই।’

আনোয়ারের ছেলে জনি বলেন, ‘আমি ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার বাবা মৎস্যচাষি। মাছ চাষ করেই বাবা সংসারের পাশাপাশি আমার পড়াশোনার খরচ বহন করে আসছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন রাতে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। এখন আমাদের কী হবে। যারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তাদের বিচার চাই আমি।’

প্রতিবেশী একরামুল হক ও তৈয়ব আলী বলেন, আনোয়ার ভাই মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। তার পুকুরে থাকা বেশিরভাগ মাছই মারা গেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ শাহারিয়ার বলেন, ওই মৎস্যচাষি থানায় এসেছে। অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় বলেন, বিষয়টি আমি জানি না এবং কেউ আমাকে জানায়নি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

নদী বন্দর / বিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com