ভারতের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটকে সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল বাজেট বলে মনে করছেন অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ। এমনকি দেশবাসীকে এ ধরনের বাজেট উপহার দেওয়ার জন্য তারা আন্তরিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। বাজেট শুনতে ব্যবসায়ী ও শিল্পমহলের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি অল ত্রিপুরা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তুষার ভট্টাচার্য ও সম্পাদক সুজিত রায়। বাজেট নিয়ে পরবর্তী সময়ে তারা একটি পর্যালোচনা সভায়ও মিলিত হন।
সভা শেষে নেতৃবৃন্দরা বলেন, আমরা অর্থমন্ত্রীর এ বাজেটকে সময়োপযোগী ও প্রগতিশীল বাজেট মনে করছি। এমনকি দেশবাসীকে এ ধরনের বাজেট উপহার প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত যেভাবে আত্মনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে এ বাজেট আরও বেশি মসৃণ করে তুলবে আত্মনির্ভরতার স্বপ্নকে। দেশ এখন পাঁচ ট্রিলিয়ন ইকোনোমির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বাজেট পর্যালোচনা শেষে সংগঠনের সভাপতি তুষার ভট্টাচার্য বলেন, নতুন ভারত গড়ার স্বপ্ন নিয়েই তৈরি করা হয়েছে এ বাজেট। এটি একটি কৃষক ও গরিব সমর্থক বাজেট। এতে সবকা সাথ সবকা বিকাশের যে সারমর্ম রয়েছে তাও পূরণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থব্যবস্থাকে দেশের সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গোটা দেশের ৭৫টি জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংক ইউনিট চালু করার কথা উল্লেখ রয়েছে। এছাড়াও স্কিলিং প্রোগ্রাম পুনর্গঠনের কথাও বলেন অর্থমন্ত্রী। এতে যুবকদের দক্ষতা, আপস্কিলিং ও রিস্কিলিংয়ের জন্য ডিজিটাল এ দেশ ই-পোর্টালও চালু করবে পরবর্তী সময়ে।
সাধারণ সম্পাদক সুজিত রায় বলেন, করপোরেট ট্যাক্সকে যেভাবে সরকার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছে তাতে নিশ্চিতভাবেই উপকৃত হবেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও এ বাজেট তৈরি করতে গিয়ে আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্যসহ পর্যটনের ক্ষেত্রে সরকার অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।