চীনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের সঙ্গে সামরিক সরঞ্জাম ও পরিষেবায় ১০ কোটি ডলারের চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই চুক্তির আওতায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাবিষয়ক সক্ষমতা বাড়াতে সব ধরনের সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। চীন তাইওয়ানকে তাদের একাংশ বলে মনে করে। চীন ক্রমাগত সীমান্তে সামরিক আগ্রাসন বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাইওয়ানের। স্থানীয় সময় সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পেন্টাগন জানিয়েছে, তাইওয়ানের প্যাট্রিয়ট মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের স্থিতিশীলতা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আধুনিকায়নে এই অর্থ ব্যবহৃত হবে।
এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সব রকমের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে তারা। নিরাপত্তা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার কথাও বলা হয় এতে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাইওয়ানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর তারা কংগ্রেসকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় সনদ প্রদান করে। ওয়াশিংটনে তাইওয়ানের ‘ডি-ফ্যাক্টো’ দূতাবাসের অনুরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা আরও হয়, প্রতিরক্ষাব্যবস্থার আধুনিকায়ন, তাইওয়ানের নিরাপত্তা জোরদার এবং ওই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক অগ্রগতি বজায় রাখতে সহায়ক হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তাইওয়ানে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রধান ঠিকাদার হবে দুই মার্কিন কোম্পানি রেথিয়ন টেকনোলজিস ও লকহিড মার্টিন।
ইউক্রেনের অচলাবস্থার মধ্যে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। অলিম্পিক আয়োজনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরুর আগে বৈঠকে বসেন শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ান চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে দাবি করে চীন। দ্বীপটির জন্য যেকোনো ধরনের স্বাধীনতার বিরোধিতাও করে চীন। বৈঠকে রাশিয়া চীনের এই অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানায়।
সূত্র: আল-জাজিরা
নদী বন্দর / জিকে