1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় দুর্ভোগে ১২ গ্রামের মানুষ - Nadibandar.com
বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২১৫ বার পঠিত

নেত্রকোনার মদনে ১২ গ্রামের মানুষের যাতায়তের সুবিধার্থে সেতু নির্মাণ হলেও তা কাজে আসছে না। সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের (অ্যাপ্রোজ) মাটি সরে যাওয়ায় ছয় বছর ধরে সেতুটি দিয়ে যান চলাচলসহ সব ধরনের যাতায়ত বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ১২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের খুড়াইখালী খালের ওপর নির্মিত সেতুটি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুটি অচল রয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।

মদন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইনিয়নের ১০-১২ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ২০১২-১৩ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২৬ লাখ দুই হাজার ৩৬ টাকা ব্যয়ে দৌলতপুর-বারেউড়া সড়কের খুরাইখালী খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ হয়।

 

স্থানীয়রা জানায়, দৌলতপুর-বারেউড়া সড়কটি তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়নের ১০-১২ গ্রামের সংযোগ সড়ক। দুই কিলোমিটারের এ সড়ক আশপাশের গ্রামের মানুষের মধ্যে সর্ম্পক গড়ে তুলেছে। যাতায়াতের সুবিধার্থে খুরাইখালী খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক বছর পরই সংযোগ সড়কের মাটি সরে যায়। ফলে অচল হয়ে পড়ে সেতুটি। এখন সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। তাই উপায় না পেয়ে মানুষ সেতুর পাশের ফসল রক্ষা বাঁধের স্লুইচ গেট দিয়ে চলাচল করছেন। এতে স্লুইচ গেটটিও হুমকির মুখে পড়েছে।

দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা রিকন মিয়া, আজিদ মিয়া, আবুল মিয়া, সাফায়েত মিয়া জানান, তিয়শ্রী ও ফতেপুর ইউনিয়েনে ২০-২৫ হাজার মানুষ দৌলতপুর-বারেউড়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। কয়েক বছর ধরে খুড়াইখালী খালের সেতুর এপ্রোজে মাটি না থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। পাশের ফসল রক্ষার বাঁধের স্লুইচ গেট দিয়ে যানবাহনসহ মানুষ যাতায়াত করেছে। এতে স্লুইচ গেটটি হুমকির মুখে পড়েছে। সেতুর এপ্রোজে মাটি দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।

 

তিয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ বলেন, খুরাইখালী খালের সেতুর এপ্রোজে মাটি না থাকায় সেটি অকেজো হয়ে পড়েছে। লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে মাটি ভরাটের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মদন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শওকত জামিল বলেন, এ বছর সেতুর এপ্রোজের মাটি ভরাট করা হবে।

মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ বলেন, ত্রাণের অধিকাংশ সেতুর এপ্রোজের মাটি নেই। সেতুর তালিকা করে অচিরেই মাটি ভরাট করা হবে।

নদী বন্দর / সিএফ

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com