আগামীকাল রবিবার সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে। জয় ছাড়া বিকল্প ভাবছে না টাইগাররা। একই লক্ষ্য লঙ্কানদেরও।
ম্যাচের আগে আলোচনায় উইকেট ও একাদশ কেমন হবে। স্পিনিং উইকেট যে থাকছে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত। উভয় দলেই বিশ্বমানের স্পিনার রয়েছে। তাই আগে থেকেই বিপদ ডেকে আনতে চাইছে না টিম বাংলাদেশ। সর্বশেষ সিরিজের মতো স্পোর্টিং উইকেটই থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এবার আসি একাদশ কেমন হবে সেই আলোচনায়। সব অনিশ্চয়তা পেছনে ফেলে সাকিব আল হাসান খেলছেন। আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাই পাঁচ বোলার ও সাত ব্যাটার নিয়ে মাঠে নামার সম্ভাবনা বেশি। সাকিব একাই একজন ব্যাটার ও বোলারের ভূমিকা পালন করেন। এ কারণে সংখ্যাটা ১২!
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একাদশে তিন পেসার থাকবে না কি দুই জন? এর জবাব মুমিনুল হক দেননি। বলেছেন, ম্যাচের দিন কন্ডিশন বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পরিস্থিতি যাই হোক, তিন পেসার খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলামের সঙ্গে থাকবেন খালেদ আহমেদ। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দলের সেরা পেসার ছিলেন খালেদ। স্পিন বিভাগে সাকিবের সঙ্গে অভিজ্ঞ তাইজুল ইসলামের থাকাও শতভাগ শিওর। মরা উইকেটেও তাইজুল প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিতে পারেন।
সাত ব্যাটারের মধ্যে ওপেনিংয়ে অভিজ্ঞ তামিম ইকবালের সঙ্গী হচ্ছেন তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। ওয়ানডাউনে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে অধিনায়ক মুমিনুল হক, পাঁচে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম, ছয়ে সাকিব আল হাসান ও সাতে উইকেটকিপার লিটন কুমার দাস। পরের চারটি পজিশন যথাক্রমে তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ।
আর যদি দুই পেসার খেলানো হয়, তাহলে একাদশে সুযোগ পেতে পারেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনি ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংটাও ভালো পারেন। একজন পূর্ণাঙ্গ বোলারের ভূমিকা পালন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে জায়গা হারাতে হবে এবাদত অথবা খালেদকে। তাছাড়া টেস্টে বাংলাদেশ সবসময় একজন বাড়তি ব্যাটার নিয়েই খেলে থাকে। তাই সৈকতের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
একনজরে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস (উইকেটকিপার), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাইজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন/খালেদ আহমেদ
নদী বন্দর/এসএম