উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রোববার (১২ জুন) দুপুর ২টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার সাত সেন্টিমিটার নিচে (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার)। এতে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি স্লুইচগেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৬টায় ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়। পরে দুপুর ২টায় সেই পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫৩ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বাড়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এদিকে, নদীর পানি বাড়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর সিন্দুর্না কমিউনিটি ক্লিনিক হুমকির মুখে পড়েছে। বড় ধরনের বন্যা দেখা দিলে এই দুটি স্থাপনা নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতবছর উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পরিবারগুলো নিঃস্ব হয়ে বাঁধের রাস্তায় ঘর তুলে বসবাস করছে।
তিস্তাপাড়ের জেলে কদম আলী বলেন, গত ১৫ দিন থেকে তিস্তার পানি বেশি। পানি বৃদ্ধির ফলে জেলেরা কোনো মাছ ধরতে পারছে না।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম বলেন, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। রোববার বিকেলে লালমনিরহাট জেলায় বন্যাপ্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক রয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এতে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি স্লুইচগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পানি সন্ধ্যার মধ্যে কমে যেতে পারে।
নদী বন্দর/এসএস