গত কয়েকদিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। তলিয়ে যাচ্ছে নিচু এলাকার জমির ফসল, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। সিরাজগঞ্জ পাউবো সূত্র জানিয়েছে, আজ রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি কাজিপুর পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ভাঙ্গার ছেও, শ্রীপুর, সুতানারা, বদুয়ারপাড়া, নতুন মাইজবাড়ী গ্রামের ঘরে ঘরে পানি ঢুকেছে। নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের ফুলজোড়, ঘোড়াগাছাসহ গতবার জেগে ওঠা চরের নতুন বসতিতে পানি প্রবেশ করেছে। চরগিরিশ ইউনিয়নের খাসচরগিরিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চরগিরিশ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া ভেটুয়া, গুয়াখাড়া, গুজিয়াবাড়ি ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের এসএম জিয়াউল হক। তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, নাটুয়ারপাড়ার অভ্যন্তরীন সড়ক ও কিছু কিছু বাঁধ ভেঙে গেছে। নিমজ্জিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
এসব এলাকার ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বন্যায় উঠতি পাট পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। অনেক বেশি পানি হওয়ায় কৃষক পাটগাছ কাটতেও পারছে না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীর পানি আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে। এতে করে নিচু এলাকায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ভাঙনসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে পাউবো।
আগাম প্রস্তুতির কথা জানিয়ে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, বন্যার্তদের জন্যে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদী বন্দর/এসএফ