অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে নদীর তীরবর্তী এলাকার বিভিন্ন ফসল ও ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আতঙ্কে রয়েছে নদীর পাড়ের মানুষরা।
উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে তিস্তার চরের সাদেক আলী, রিয়াজুল ইসলাম ও আ. জলিল জানান, প্রত্যেকের এক থেকে দেড় একর করে জমিতে বাদাম চাষ করেছিলাম। কিন্তু শুক্রবার গভীর রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে সেই ক্ষেতের ফসল তলিয়ে গেছে।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম জানান, ১০-১২ দিন ধরে অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢালে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সম্পা আকতার জানান, উপজেলায় তিস্তার চরে ৫ হেক্টর জমিতে বাদাম রোপা আমন বীজ তলা ৫ হেক্টর, পাট ৬ হেক্টর ও আউশ ২ হেক্টরসহ রবি শস্য তলিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম বলেন, ‘তিস্তার চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শুধু ঘরিয়াল ডাংগা ইউনিয়নে ৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাকি ইউনিয়ন গুলোতে তালিকা পেলে বরাদ্দ দেওয়া হবে।’
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সার্বক্ষণিক নজর দারিতে রাখা হয়েছে।’
নদী বন্দর/এসএফ