সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ার কারণে একের পর এক ডুবছে ফসলি জমি, ভাসছে নতুন নতুন গ্রাম।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজিপুরের চরাঞ্চলে অবিস্থত ৬টি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এরইমধ্যে চরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নাটুয়ারপাড়া থেকে রূপসার প্রায় ১১ কিলোমিটার আরসিসি রাস্তার তিন কিলোমিটার পানিতে ডুবে গেছে।
পানি তোড়ে এই রাস্তাটি যেকোনো সময় ধসে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন। তিনি আজ সকালে ওই এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা জানান। এছাড়া গতকাল ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে গেছেন কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।
এদিকে, ফুলজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চরম ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। ওই বিদ্যালয়ের স্থাপনাসমূহ অন্যত্র সরিয়ে নিতে গতকাল কাজিপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিত আকারে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক।
পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার ২৫টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের ভেটুয়া, গুয়াখাড়া, গুজিয়াবাড়িতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা এসএম জিয়াউল হক। তেকানি, নিশ্চিন্তপুর, নাটুয়ারপাড়ার অভ্যন্তরীন সড়ক ও কিছু কিছু বাধ ভেঙে গেছে।
নিমজ্জিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার ফসলি জমির পাট, তিল, কাউন, বাদাম, শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের উঠতি ফসল নষ্ট হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। বন্যায় সদ্য বেড়ে ওঠা পাট পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। অনেক বেশি পানি হওয়ায় কৃষক পাটগাছ কাটতেও পারছে না।
কাজিপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম শাহা আলম মোল্লা জানান, এরইমধ্যে উপজেলার ১১৫০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আমরা বরাদ্দ চেয়ে জেলায় চাহিদা পাঠিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। গতকাল এই সমস্যায় করণীয় বিষয় নিয়ে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নদী বন্দর/এমকে