কুড়িগ্রাম জেলা শহর ঘেঁষে প্রবাহিত ধরলা নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য বালু খেকোদের নির্মিত ব্রীজ ও বাঁধ-রাস্তা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
এই অভিযানের আওতায় সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার পলাশবাড়ী এলাকায় বালুবাহী ট্রলিসহ ট্রাক্টর চলাচলের জন্য নদীর উপর স্টিলপাত ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে নির্মিত ১০ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজসহ ৭০ মিটার দৈর্ঘের বাঁধ-রাস্তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এ সময় বালুবাহী ট্রলিসহ ২টি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডিপুটি কালেক্টর ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুল ইসলাম উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন। অভিযানে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইসমত আরা এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যগণ অংশ নেন।
এলাকাবাসী জানান, শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথে স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বালু খেকোরা ধরলা নদীর পানি প্রবাহ আটকে বিভিন্ন এলাকায় বালুবাহী ট্রলিসহ ট্রাক্টর চলাচলের জন্য ব্রীজ ও বাঁধ দিয়ে রাস্তা তৈরি করে ধরলা নদীর বুক থেকে বালু উত্তোলন করে এনে বিক্রির জমজমাট ব্যবসা চালাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুল ইসলাম জানান, নদীর উপর অবৈধভাবে বাঁধ-রাস্তা নির্মাণ মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী বালু মহাল ঘোষণা ছাড়া বালু উত্তোলন করা যাবে না। এজন্য অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ-রাস্তা উচ্ছেদ এবং বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, জেলায় সরকারের সায়রাতভুক্ত কোন বালু মহাল নেই। বিগত ২০১৩ সালের দিকে সদর উপজেলার কালির আলগা মৌজায় ১০ একর এবং উলিপুর উপজেলার কচাবান্ধা জাহাজের আলগা মৌজায় ২ একর মোট ১২ একর জমি বালু মহাল হিসাবে সায়রাতভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও দীর্ঘ ৭ বছর পার হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
নদী বন্দর / জিকে