বগুড়ায় এবার ৪৫ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১০টায় পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে মাসিক কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
এসময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সব থানার ওসি উপস্থিত ছিলেন। গত মে মাসে ৫০ পুলিশ সদস্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন আর জুন মাসের কার্য সম্পাদনের ওপর ৪৫ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
সভায় জুন মাসের কার্য সম্পাদনের ওপর ভিত্তি করে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম এবং শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তানভীর হাসান পুরস্কৃত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন সদর থানার ওসি সেলিম রেজা এবং শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন সদর থানার জাহিদুল হক এবং শিবগঞ্জ থানার মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ। শ্রেষ্ঠ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসেবে ফুলবাড়ি ফাঁড়ির সুজন মিয়া পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ এসআইয়ের পুরস্কার পেয়েছেন দুজন। তারা হলেন- সদর থানার জহুরুল ইসলাম এবং মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মনোয়ারুল ইসলাম। শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে সদর থানার ডন কংকন বর্মন এবং শাজাহানপুর থানার শামীম হোসেন পুরস্কার পেয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ ডিএসবি অফিসার হিসেবে এএসআই রজব আলী, শ্রেষ্ঠ ডিবি অফিসার হিসেবে এসআই শাহ আলম খলিফা, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে সদর ট্রাফিকের টিএসআই আ. রউফ, শ্রেষ্ঠ জিআরও হিসেবে সদর কোর্টের এএসআই নজরুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ বিট অফিসার ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খোকন চন্দ্র দাস এবং শ্রেষ্ঠ নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক অফিসার হিসেবে সদর থানার নারী এসআই জেবুন নেছা পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ মাদকদ্রব্য উদ্ধারকারী ক্যাটাগরিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই নাজিম উদ্দিন এবং মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মনোয়ারুল ইসলাম পুরস্কৃত হয়েছেন। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে সদর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম এবং এএসআই ডন কংকন বর্মন জুন মাসের সেরার পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি গ্রেফতারে জন্য শাজাহানপুর ও দুপচাঁচিয়া থানা পুরস্কার পেয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটনকারী ক্যাটাগরিতে ১৭ জন পুলিশ সদস্য পুরস্কার পেয়েছেন।
নদী বন্দর/এসএস