নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি খুলনা-মোংলা রেললাইনের নির্মাণ কাজ। রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পে দফায় দফায় ব্যয়ের পাশাপাশি মেয়াদ বাড়ছেই। সব মিলিয়ে চতুর্থবারের মতো ব্যয় ও সময় বাড়ানো হয়েছে। তারপরও প্রকল্পটির অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।
শুরুতে ২০১০ থেকে ২০১৩ মেয়াদে এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটি। অথচ তিন দফায় প্রকল্প ব্যয় বাড়তে বাড়তে এখন তিন হাজার ৮০১ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। খুলনা-মংলা বন্দর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের, আইএমইডি’র সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এরই মধ্যেই চতুর্থবারের মতো ২০২১ সাল পর্যন্ত এর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্প শেষ হওয়ার সময় বাড়ছে আট বছর। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ হতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে।
খুলনা-মংলা রেল প্রকল্পের ডেপুটি প্রকল্প পরিচালক আহমেদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘কোভিড-১৯ আমাদেরকে যদি আর বাধাগ্রস্ত না করে আশা করছি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ কাজটা সম্পন্ন করতে পারব।’
খুলনা-মংলা রেললাইন নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা জানান, করোনা পরিস্থিতির আগে কাজের গতি খুব ভালো ছিল, কিন্তু এ মুহুর্তে সময় ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে গেছে। লকডাউনের কারণে ভারত থেকে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আনা সম্ভব হয়নি। যে কারণে কাজের গতি খুব মন্থর।
এ প্রকল্পটির শেষ হলে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রসারের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্যও এই মংলা বন্দরের রেল সংযোগটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
খুলনা-মংলা রেলপথ প্রকল্পের কাজ তিনটি অংশে বিভক্ত। রেলসেতু, রেললাইন এবং টেলিকমিউনিকেশন ও সিগন্যালিং। এছাড়া ২১টি ছোটখাটো ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মিত হবে এর আওতায়।
নদী বন্দর / পিকে