মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বাংলাদেশের চেয়ে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটলেও খবরের শিরোনাম হয় বাংলাদেশ।
রোববার(২৪ জানুয়ারি) বিকেলে আমেরিকার চেম্বার অ্যামচাম আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন। করোনাকালে সম্মুখযোদ্ধা সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন রিপোর্টের মূল্যায়ন ও তাদের পুরস্কার দেয়ার নাম ঘোষণা করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকতা হতে হবে স্বচ্ছ ও অনুসন্ধানমূলক। নিজেরা নিজেরা গবেষণা করে সংবাদ প্রকাশ না করাই ভালো। সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। এবার করোনা মহামারিতেও মানুষকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে তারা সচেতন করেছে ও সংকটে পাশে থেকেছে। সাংবাদিকদের সমাজের স্বার্থ মাথায় রেখে কাজ করারও আহ্বান তিনি।
এসময় বিশ্বনেতাদের বিশ্বব্যাপী সংঘাত-সহিংসার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর আর কোথাও রোহিঙ্গাদের মতো দুর্দশা দেখতে চাই না।
উন্নয়নশীল দেশের কাঁতারে দাঁড়াতে গত ১২ বছর ধরে লাগাতার উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে অনেকেই তথ্য-প্রযুক্তিখাতে কাজ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। তাদের তুলে ধরতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন আশা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য ও সেবা রপ্তানির ক্ষেত্রে অ্যামচাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ সব সামাজিক সূচকে এগিয়ে চলেছে। বর্তমান সরকার গৃহ নিয়ে গৃহহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করছে ও পৌঁছে দিচ্ছে। অনুষ্ঠানে, জো বাইডেনের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে,বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার জানান,বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আগামীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় ও বিস্তৃত হবে। যুক্তরাষ্ট্র, সব সময় বাংলাদেশি সংবাদ মাধ্যমের পাশে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসময়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন পথে করোনাকে বাধা হিসেবে উল্লেখ করে রবার্ট মিলার বলেন, প্রতিটি দেশই ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই মহামারিতে উন্নয়ন পরিকল্পনাকে কাটছাট করতে বাধ্য করেছে।
নদী বন্দর / জিকে