পাহাড়ী ঢল থামায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বান্দরবান ও কক্সবাজারে। তবে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকায় এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বান্দরবান শহর। সড়ক ডুবে থাকায় রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ। ফেনীতে মুহুরি নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে নতুন এলাকা।
ছয় দিনের টানা ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় কক্সবাজারের শতাধিক গ্রাম। তবে গেল রাত থেকে বৃষ্টি কমে আসায় বাসা-বাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে পানি। তবে নিচু এলাকাগুলো এখনও তলিয়ে আছে গলা সমান পানিতে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে চকরিয়ার বাসিন্দারা।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। খোলা হয় আশ্রয়কেন্দ্র। প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
বান্দরবানেও বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও দুর্ভোগ কাটেনি মানুষের। বিদ্যুৎ সরবরাহ উপকেন্দ্র পানিতে ডুবে থাকায় তিন দিন ধরে জেলা শহর বিদ্যুৎবিহীন। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট সেবা ও সুপেয় পানি সরবরাহ। বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে থাকায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন বাড়ির ছাদে বা টিনের চালায়।
বান্দরবান-রাঙামাটি ও বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়কের বিভিন্ন এলাকা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুই জেলার সঙ্গেও বান্দরবানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এদিকে, ফেনীতে মুহুরি নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে আরও তিনটি গ্রাম। ফুলগাজী, পরশুরামের মুহুরী ও কুহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ৩টি স্থান ভেঙ্গে হু হু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, দুই উপজেলায় প্রায় ৫শ’ হেক্টর রোপা আমন আবাদ পানির নীচে তলিয়ে আছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি