তিস্তার পানি বেড়ে ফের বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণের ব্যারাজে ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৫২ পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিকেল ৩টার দিকে ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২দশমিক ৬ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গত শনিবার তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় ফলে লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে।
একদিন পর আবারও তিস্তার পানি বেড়ে জেলার ৫ উপজেলার তিস্তা চর অঞ্চলের ঘরবাড়িতে প্রবেশ করতে শুরু করছে। চরের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন এলাকায় প্লাবিত হচ্ছে। একদিন যেতে না যেতে তিস্তার পানি বাড়ায় ফের দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ প্রকৌশলী রাশেদিন ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে কি পরিমাণ পানি আসছে সেটি বলা যাচ্ছে না।
পানি বাড়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানি, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, বাকডোরা, কালমাটি রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আবারও পানি প্রবেশ করছে।
গড্ডিমারি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) জাকির হোসেন বলেন, তিস্তার পানি নেমে যাওয়ার একদিন পর ফের নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। নদী পাড়ের মানুষ আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন।
দহগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে দহগ্রাম ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠে গেছে। শনিবারে পানি বৃদ্ধির ফলে আদর্শ গ্রাম যাওয়ার রাস্তাটি পানির তরে ভেঙে গেছে।
নদী বন্দর/এসএইচবি