এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও মানুষের মৃত্যু বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বছরের প্রথম থেকেই মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি ও উদ্যোগের কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের সব চেষ্টার পরও এ বছর ডেঙ্গুতে রেকর্ড সংখ্যক মানুষের মৃত্যু অত্যন্ত বেদনা ও পীড়াদায়ক। ডেঙ্গু রোগে একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য নয়। কিন্তু আমাদের আর কোনো কিছু করার বাকি রয়েছে কি না সে বিষয়গুলো আলোচনা করার জন্যই বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় আমাদের আজকের এ কর্মশালা।
বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ: তথ্য শেয়ারিং সেশন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ইফাত মাহমুদ এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লায়ে সেক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী এবং যুগ্ম সচিব ফারজানা মান্নান।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসময় বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে সারা পৃথিবীতে সাত লাখ মানুষ মারা যায়। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের মতো দেশের জন্য মশাবাহিত রোগ মোকাবিলা করতে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।
যদিও ১৯৬৪ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগ বাংলাদেশে আসে বলে তথ্যে জানানো হয়েছে। কিন্তু এ রোগের ব্যাপকতা ২০১৯ সালে প্রথম আমরা দেখতে পাই। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার আগের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে মশা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও জনগণের অংশগ্রহণই প্রধান বিষয়।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, বছরের প্রথম থেকেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনগুলোর মশা মারার পর্যাপ্ত ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং লোকবল রয়েছে কি না সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে যথাযথ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখন জনসম্পৃক্ততা যত বাড়ানো যাবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা যত শক্তিশালী হবে, ততই মশার প্রজননস্থল ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হ্রাস পাবে।
কর্মশালা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ডেঙ্গু বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
নদী বন্দর/এসএইচবি