দীর্ঘ ১৬ বছরেও হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ ৫ জন হত্যার বিচার হয়নি। গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্বজনরা হতাশা জানালেও মামলার বাদী সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খানের আশা, এ সরকারের আমলেই শেষ হবে বিচারকাজ।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যেরবাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অনেকে। এতে অর্থমন্ত্রীসহ মারা যান ৫ জন। আহত হন অনেকে।
নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহতরা জানান, ঘটনার দিন রাতেই মামলা হলেও পরবর্তী ১৬ বছরেও শেষ হয়নি বিচারিক প্রক্রিয়া।
ভুক্তভোগী পরিবার-পরিজনরা জানান, আমরা এ হত্যার বিচার চাই। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আছে, আমরা বিচার চাই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ২০০৫ সালেই প্রথমবার ও দ্বিতীয়বার পাঠানো হয় ২০১৫ সালে।
এ নিয়ে কথা সময় সংবাদের সঙ্গে মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবদুল মজীদ খান, শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার ও গ্রেনেড হামলায় আহত ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের।
ওইদিন গ্রেনেড হামলায় আহত ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু জাহির বলেন, একের পর এক গড় হাজিরা দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। একদিন হাজিরা দেন আরেক দিন সময়ের আবেদন জানান তারা, এভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন তারা।
এ মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আবদুল মজীদ খান বলেন, অধিকাংশ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে, বাকিদের সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলা বিচার শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা।
শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়ার বলেন, যারা এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে তাদেরকে চিহ্নিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যত দিন একটা সুষ্ঠু তদন্ত না হয়, তত দিন আমাদের একটা সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, হারিছ চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী, জিকে গউছসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। সিআইডি চার্জশিট দেয় ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর।
নদী বন্দর / পিকে