চাঁদপুরে-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির বার্ষিক আয় ব্যাংক সুদ, পারিতোষিক ও উপহারে সীমাবদ্ধ। কৃষিজমি বা কোনো ব্যবসা নেই তার। বছরে ব্যাংক সুদ থেকেই তার আয় ১১ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৪ টাকা। স্বামী ও ভাই থেকে উপহার হিসেবে পান ৯০ লাখ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি পান ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. দীপু মনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে তিনি সুদ পান ৩ লাখ এক হাজার ২০০ টাকা। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতাদি পান ২১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯৬ টাকা। অন্যান্য খাতে তিনি দেখিয়েছেন- এফডিআর ও ব্যাংক ইন্টারেস্ট পান ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৬৭৪ টাকা। স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছেন ৯০ লাখ টাকা। মোট বার্ষিক আয় এক কোটি ২৩ লাখ ১০ হাজার ২৭০ টাকা।
অস্থাবর সম্পদ বিবরণীতে দীপু মনি উল্লেখ করেছেন, তার কাছে নগদ টাকা আছে ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৮ টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা আছে ব্যাংকে ২০০ ডলার, ২৫ পাউন্ড। আর তার কাছে আছে ৪২০০ ডলার ও ২০০ পাউন্ড। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা আছে- ৬ লাখ ৬০ হাজার ৭৮৬ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে এক কোটি ৪৪ লাখ ২২ হাজার ৩৫৭ টাকা। অলংকারাদি আছে ৯ লাখ টাকার। বিভিন্ন আসবাবপত্র আছে লাখ টাকার। এছাড়া একটি গাড়ির মালিক ডা. দীপু মনি।
স্বামী তৌফিক নাওয়াজের নামে নগদ ১১ লাখ ২ হাজার টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা আছে নগদ ৫ হাজার ডলার। বেনেভোলেন্ট ফান্ডে ৪৫ লাখ টাকা। বিভিন্ন সঞ্চয় ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭ টাকা। স্বামীর নামেও একটি গাড়ি ও ৫০ হাজার টাকা মূল্যের অলংকার আছে।
স্থাবর সম্পদ বিবরণীতে ডা. দীপু মনি উল্লেখ করেছেন, তার নামে অকৃষি জমি আছে ১০ কাঠা ও তিনটি ফ্ল্যাট। তার স্বামীর নামে একটি ফ্ল্যাট আছে। দীপু মনির ব্যক্তিগত ঋণ ১ কোটি ১১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৪৩ টাকা।
নদী বন্দর/এসএইচবি