গাজীপুরে রেললাইন কাটার ঘটনায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
যারা ট্রেনের লাইন কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা মনে করছেন ট্রেনলাইন কেটেছেন তাদের পুলিশ খুঁজে পাবে না, পুলিশ অবশ্যই তাদেরকে খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে গুপ্তস্থান থেকে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সেই অবরোধে দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র সাড়া নেই। দেশের মানুষের সাড়া তো নেই, বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। দেশের মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
সেই কাজকর্মকে ব্যাহত করতে ২৮ অক্টোবর থেকে ক্রমাগতভাবে গাড়িঘোড়ায় আগুন দেওয়া হচ্ছে দাবি করে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, গতকাল গাজীপুরে রেললাইনের ২০ ফুট কেটে দেওয়া হয়েছে। এতে ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। একজন যাত্রী নিহত ও অর্ধশত যাত্রী আহত এবং ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি রাজধানীতে কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের এই তথাকথিত অবরোধ কোথাও পালিত হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে আগুন দেওয়া এ কোন রাজনীতি? পৃথিবীর কোথাও দেখিনি রাজনীতির নামে বাসে আগুন দেওয়া হয়। গাড়িতে আগুন দেওয়ায় এ পর্যন্ত ৭ জনের বেশি মানুষ নিহত ও বহু মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়েছে। এই অপরাজনীতি অচিরেই বন্ধ হওয়া দরকার।
বিএনপি বলছে তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। গাড়িঘোড়া পুড়িয়ে কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন? মানুষ পোড়ানো কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন? এভাবে জনজীবন ব্যাহত করে জানমালের ক্ষতি করে কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। এগুলো দেশবিরোধী, সন্ত্রাসী, জনবিরোধী কর্মকাণ্ড। তারা যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এগুলো বর্বরতা, হিংস্রতা, যা হিংস্র হায়নাকেও হার মানিয়েছে। তাদের এই অপরাজনীতি চিরদিনের মতো বন্ধ করতে হবে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
নদী বন্দর/এসএইচবি