মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের ভাষা কেড়ে নিতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তানিরা। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এখন পালন হচ্ছে পাকিস্তানেও।
শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষাকে তারা (পাকিস্তান) স্বীকৃতি দিতে চায়নি তখনই বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন এদেশে পাকিস্তানি শোষণ চলবে। বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির কথা ভেবে তিনি ১৯৪৮ সালেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৬’র ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আমরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।
দেশের স্বাধীনতায় চট্টগ্রামের ভূমিকা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা প্রথম প্রচার হয় এই চট্টগ্রামের বেতার থেকে। ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা হয়েছে এই চট্টগ্রাম থেকে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেও চট্টগ্রামের অবদান অনেক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে নেমেছে। বিশ্বের কাছে তিনি প্রমাণ করেছেন, পাকিস্তানিরা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করছে না। যার কারণে বিশ্ব জনমন আমাদের পক্ষে ছিল। সেজন্যই আমরা নয় মাসের মধ্যেই দেশকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম।
এসময় চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি এস এম আল মামুন, চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম সরোয়ার কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে একাত্তরের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।
নদী বন্দর/এসএইচবি