বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ইদানীং জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতির বাইরে তিনি এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন। অথচ মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করতে চেয়েছিলেন। এছাড়া যিনি বলেছিলেন—খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দেব। ওনারই সন্তান মঈন খান।
শনিবার (১৮ মে) চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাওয়ার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্যসংকট তৈরি হয়। খাদ্যসংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, সেই কাজের পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিলেন—খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দেব। ওনারই সন্তান মঈন খান।
বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন দাবি করে ড. আব্দুল মঈন খানের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন অ্যাম্বাসিতে ঘুরে বেড়াত। আর দেনদরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচণ্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরো বেশি মানুষ ভোট দিত।
এছাড়া বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা না দিত। মানুষের ওপর হামলা, ট্রেনে শিশুসন্তানসহ পুরো পরিবারকে জ্বালিয়ে হত্যা না করতো, তাহলে ভোটের হার ৬০ শতাংশের বেশি হত। গত দুই-তিন বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অনেক দেশে নির্বাচন হয়েছে, সেখানে অনেক দেশে ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। যদিওবা সেখানে নির্বাচনে বর্জন ও প্রতিহতের কোনো হুমকি ছিল না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হতো তাহলে পৃথিবীর ৮০টি দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এ জন্য বিএনপির মাথা খারাপ।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
নদী বন্দর/এসএইচ