ফরিদপুরের সালথা উপজেলার উপজেলা কার্যালয়ের পাশে দোকান ভাড়া দিয়ে এখন দোকান ও জমি হারাতে বসেছে নির্মল সেন।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায় সালথার পুরুরা মৌজার বি.এস. ৬৯১নং খতিয়ানের ৩৭৭নং দাগের ১২ শতাংশ জমি ২০১২ সালের ২৯ জানুয়ারি মোবারক হোসেন নামক এক ব্যক্তির নিকট হতে রেজিষ্ট্রি কবলামূলে ক্রয় করেছিলেন নির্মল সেন নামক এক ব্যক্তি। এই জায়গায় কয়েকটি দোকান তুলে ভাড়া দেন স্থানীয় কিছু ভাড়াটিয়ার কাছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের পাশে হওয়ায় জমিটি এখন বেশ দামী।
গত ৮ বছর ধরে এই মার্কেটের একটি দোকান ভাড়া নিয়ে দোকানদারী করতেন জুয়েল মাহমুদ নামে একজন ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি ঐ দোকান ও জমির মালিকানা দাবী করে বসেছেন। এলাকা সূত্রে ও দলিলাদি দেখে জানা যায়, উল্লেখিত ঐ জমির মূল মালিক ছিলেন ইউনুস চৌধুরী। ১৯৯৯ সালে তার কাছ থেকে জমিটি খরিদ করেন জনৈক মোবারক হোসেন। ২০১২ সালে মোবারক হোসেনের নিকট থেকে রেজিষ্ট্রি কবলামূলে জমিটি খরিদ করেন নির্মল সেন। ঐ জমির উপর তিনি একটি মার্কেট তৈরি করেন যার একটি পজিশন ভাড়া নিয়ে ৮ বছর যাবৎ দোকান করছেন জুয়েল মাহমুদ। বর্তমানে তিনি ঐ জমি ও দোকানের মালিকানা দাবী করে বসেন।
জুয়েলের দাবী ইউনুস চৌধুরী মৃত্যুর পর তার স্ত্রী ও সন্তানের নিকট হতে দুই শতাংশ জমি তিনি খরিদ করেছেন। এ ব্যাপারে নির্মল সেন জেলা
ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করলে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সেখানে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তদন্ত সুব্রত গোলদার খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জুয়েল মাহমুদ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় চলেন। তিনি নিজেও বিএনপির একজন কর্মী। জোর পূর্বক এ
দোকান ও জায়গা দখলের জন্য স্থানীয় ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নির্মল সেন ও তার পরিবার জানায় জোর পূর্বক দখল করে তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন তিনি যেন সুষ্ঠ বিচার পান। এ ব্যাপারে জুয়েল মাহামুদের মুঠোফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে মুঠোফোনের সংযোগটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
নদী বন্দর / জিকে