আফগানস্তানের প্রথম নারী হিসেবে হিন্দুকুশ পর্বতমালার নোসাখ শৃঙ্গ জয় করলেন ১৮ বছরের ফাতেমা সুলতানি। সঙ্গে ছিলেন আরো সাতজন সাহসী নারী পর্বতারোহী। এর আগেও ফাতেমা তার এই হাইক ভেঞ্চার নামের দল নিয়ে আফগানস্তানের তিনটি পর্বত তারা জয় করেন। তালেবানদের হাজারো বাঁধা টপকে এখন তাদের স্বপ্ন, একদিন বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করার।
আফগানস্তানের সাহসী এই মেয়ের লক্ষ্য আফগানস্তানকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরা। তার বিশ্বাস আফগানি নারীরা পুরুষদের থেকে বেশী সাহসী! এমনকি তারাও বিশ্বের যেকোন প্রান্তের নারীদের মতো নিজ দেশের সব পর্বত বিনা বাঁধায় জয় করতে পারবে।
আফগানস্তান পর্বতারোহী ফাতিমা সুলতানি বলেন, আমার লক্ষ্য গোটা বিশ্বকে দেখানো যে আফগান নারীরা অনেক সাহসী। তারা পুরুষদের থেকেও কঠিন কাজ করতে পারে। আফগানস্তানের সর্বোচ্চ পর্বত জয় করার জন্য যদি বিশ্বের সবপ্রান্ত থেকে যদি মেয়েরা আসতে পারে তাহলে আমরা নিজেরা কেনো পারবো না?
আফগানিস্তানে বেশ সক্রিয় জঙ্গি সংগঠন তালেবান। আর মেয়েদের জন্য তারা স্বাধীনভাবে বাঁচার যেনো সব পথ বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি খেলাধুলায় অংশগ্রহনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও ফাতেমা তাদের সব বাঁধা মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে চায়।
ফাতিমা সুলতানি বলেন, আমি আগে থেকেই জানতাম, আমাকে তালেবানদের অনেক বাঁধার সম্মুখিন হতে হবে। কারণ তারা খেলাধুলায় মেয়েদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু তারপরও আমি তাদের সব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে রাজী।
ফাতেমার এই অর্জনে তার বাবা-মা অনেক খুশি। তালেবানদের সক্রিয়তা নিয়ে শঙ্কিত হলেও তারা তাদের মেয়ের ইচ্ছার প্রতি পূর্ণসমর্থন থাকবে বলে জানান।
ফাতিমা সুলতানি’র বাবা বলেন, তালেবানদের নিয়ে অবশ্যই আমার ভয় আছে। কিন্তু আমি সব সময় ফাতেমাকে বলে এসেছি, তার মন যা চায় তা সে করতে পারবে। সেটা খেলাধুলা হোক বা পর্বতারোহণ! আমি যতটুকু পারি তাকে সমর্থন দিয়ে যাবো।
ফাতেমাসহ আফগানি এই কিশোরীদের পরবর্তী লক্ষ্য সব বাঁধা-বিপত্তি টপকে হিন্দুকুশ পর্বতমালার ‘মীর সামির’ শৃঙ্গ এবং মাউন্ট এভারেস্ট জয় করা।
নদী বন্দর/এবি