আগামী বাজেটে দেশের সংবাদপত্র শিল্পে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্টের আমদানির ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সঙ্গে এক আলোচনায় এই ইঙ্গিত দেন তিনি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংবাদপত্র শিল্প রক্ষায় শুল্ক ও করনীতিতে সংস্কারের দাবি জানায় নোয়াব। যার পরিপ্রেক্ষিতে, এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অগ্রিম আয়কর কমানোর বিষয়টি আমরা বিবেচনা করে দেখবো। বর্তমানে নিউজপ্রিন্ট আমদানিতে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) রয়েছে।
আমদানি করা নিউজপ্রিন্টের কর কাস্টম স্টেশনগুলোয় প্রকৃত মূল্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে, রেকর্ডকৃত মূল্যের ভিত্তিতে নয়— এ আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ভুল ঘোষণার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে মূল্যায়ন নির্বিচারে করা উচিত হবে না।
নোয়াব নেতারা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য কাস্টমস শুল্ক, ভ্যাট ও করপোরেট কর কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আর্থিক ক্ষতির বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করে তারা এই দাবি জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, সব শিল্পে করপোরেট কর ও ভ্যাটের হার অভিন্ন হওয়া উচিত।
নোয়াবের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির বর্তমান অবস্থায় বিশেষত ডলারের ক্রমবর্ধমান বিনিময় হার, এ শিল্পকে নতজানু করে ফেলেছে। বিগত কয়েক বছরে সংবাদপত্র শিল্প বিকাশে সরকার আমাদের কোনও প্রস্তাবনা আমলে নেয়নি। এ বছরের বাজেটে আমাদের প্রস্তাবগুলো বিবেচনায় নেওয়া হোক।
এ কে আজাদ সংবাদপত্রের ওপর উচ্চ করের বোঝা তুলে ধরে বলেন, ৫ শতাংশ শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ও ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ নিউজপ্রিন্ট কাগজ আমদানিতে মোট কর প্রায় ৩০ শতাংশ। এটি কমাতে কাস্টমস শুল্ক ও ভ্যাট কমানোর অনুরোধ করেন তিনি।
নদীবন্দর/জেএস