পাবনার ঈশ্বরদীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার দাশুড়িয়া সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন ও এক শ্রমিক নেতার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে এক পক্ষ।
অভিযোগপত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকের বড় ভাই ও দাশুড়িয়া ট্রাফিক মোড় শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রকু প্রামাণিকের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন দাশুড়িয়া গোলচত্ত্বর সিএনজিস্ট্যান্ড দখল করে চাঁদা আদায় করতে থাকেন।
এসময় চাঁদা না দেওয়া ও স্ট্যান্ড ছাড়তে রাজি না হওয়ায় দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে বিপুল মোল্লার পক্ষে আব্দুর রাজ্জাক, আনিছুর ও মান্নান নামে কয়েকজন এগিয়ে এলে শ্রমিক নেতার লোকজন মারপিট শুরু করে। এতে বিপুল মোল্লাসহ তার অনুসারী কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পরে তাদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব বিপুল মোল্লা জানান, চাঁদা না দেওয়ায় প্রথমে আমাকে ও পড়ে সিএনজির দুই চালককে মারপিট করে রকু ও তার অনুসারীরা। তবে কারা রকুর অফিস ভেঙেছে তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা তখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম।
অপরদিকে মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা রকুর ছোট ভাই রিপন হোসেন জানান, বিকেলে স্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠা নিয়ে আমার বড় ভাই রকু ও বিপুল মোল্লার অনুসারীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি মীমাংসার জন্য তাদের আসতে বলি, অথচ বিপুল মোল্লার অনুসারীরা রাতে আমার ভাইয়ের অফিস ভাঙচুর করেছে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন প্রামাণিকের বড় ভাই ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা রকু প্রামাণিকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় রাতে বিপুল মোল্লা বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদীবন্দর/এসএন